ঐতিহ্য চুরি..
ঐতিহ্য চুরি..
গরম ভাতে পানি ঢেলে জোর করে পান্তা বানানো।
পান্তা ইলিশ
আর তাতে বাজারের সবচেয়ে দামি মাছটি(ইলিশ) মিশিয়ে গরিব উপহাস করার এই কর্পোরেট সংস্কৃতি কোনোদিন চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ছিলনা হতেও পারেনা।.... কেন ?

১। পহেলা বৈশাখের সময় নদীতে জাটকা ছাড়া বড় ইলিশ পাওয়া যায়না সুতরাং এই সময় ইলিশ খাওয়ার অভ্যাসও তৈরি হওয়ার কথা নয়।
২। ইলিশ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় খুব একটা সহজলভ্য নয় সুতরাং সারাদেশের মানুষের মাঝে পূর্ব থেকে ইলিশ প্রীতি গড়ে ওঠা অযৌক্তিক।
৩। একটু অন্য ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বৈশাখের শুরুর সময় ঘরে কোন নতুন ফসল থাকেনা সুতরাং কৃষক-মজুরের হাতে টাকাও থাকত না। এ অবস্থায় সহজলভ্য স্থানীয় মাছ রেখে তুলনামুলক বেশিদামের ইলিশ খাওয়ারচল গ্রামিণ জনপদে চালু হওয়া যুক্তি সঙ্গত নয়।
৪।যেকোন উৎসব মানেই বাঙালি রীতি অনুযায়ী ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা। সেখানে পহেলা বৈশাখে, সানকিতে পান্তা খাওয়ার এই উল্টো সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে এ জাতী ধারণ করতে পারেনা।
৫। এই সংস্কৃতি মূলত, ৮০র দশকে ঢাকার রমনা এলাকার কিছু ব্যবসায়ীর হাত ধরে চালু হয়। সে সময় পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার পর কিছু রেস্টুরেন্ট আগত বড়লোকদের গ্রামিণ ছোঁয়াদিতে পান্তা ভাতের সাথে আভিজাত্যের ইলিশ দিয়ে খাওয়াতে শুরু করল। পরবর্তীতে শহুরে মানুষ ধীরে ধীরে সেই রীতি বাসা বাড়িতেও অনুসরণ করতে থাকে।
[নোটঃ এবারসহ গত কয়েকবছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং তার কার্যালয় পহেলা বৈশাখে ইলিশ বর্জন করছেন।
২০১৭ সালের ১১এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেনঃ ‘পহেলা বৈশাখে কেউ ইলিশ খাবেন না। ইলিশ ধরবেন না। খিচুড়ি খাবেন, সব্জি খাবেন, মরিচ পোড়া খাবেন, ডিমভাজি খাবেন।’]
Comments
Post a Comment