Posts

Showing posts from April, 2022

ঐতিহ্য চুরি..

Image
ঐতিহ্য চুরি.. গরম ভাতে পানি ঢেলে জোর করে পান্তা বানানো। পান্তা ইলিশ আর তাতে বাজারের সবচেয়ে দামি মাছটি(ইলিশ) মিশিয়ে গরিব উপহাস করার এই কর্পোরেট সংস্কৃতি কোনোদিন চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ছিলনা হতেও পারেনা।.... কেন ? ১। পহেলা বৈশাখের সময় নদীতে জাটকা ছাড়া বড় ইলিশ পাওয়া যায়না সুতরাং এই সময় ইলিশ খাওয়ার অভ্যাসও তৈরি হওয়ার  কথা নয়।  ২। ইলিশ বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকা ছাড়া অন্যান্য জায়গায় খুব একটা সহজলভ্য নয় সুতরাং সারাদেশের মানুষের মাঝে পূর্ব থেকে ইলিশ প্রীতি গড়ে ওঠা  অযৌক্তিক। ৩। একটু অন্য ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বৈশাখের শুরুর সময় ঘরে কোন নতুন ফসল থাকেনা সুতরাং কৃষক-মজুরের হাতে টাকাও থাকত না। এ অবস্থায় সহজলভ্য স্থানীয় মাছ রেখে তুলনামুলক বেশিদামের ইলিশ খাওয়ারচল গ্রামিণ জনপদে চালু হওয়া যুক্তি সঙ্গত নয়। ৪।যেকোন উৎসব মানেই বাঙালি রীতি অনুযায়ী ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা। সেখানে পহেলা বৈশাখে, সানকিতে পান্তা খাওয়ার এই উল্টো সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে এ জাতী ধারণ করতে পারেনা। ৫। এই সংস্কৃতি মূলত, ৮০র দশকে ঢাকার রমনা এলাকার কিছু ব্যবসায়ীর হাত ধরে চালু হয়। সে সময় পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত...

রহস্যে ঘেরা মানুষশূন্য মঙ্গলপুর গ্রাম

Image
 ধীরে ধীরে চারপাশে অন্ধকার জাঁকিয়ে বসে। গ্রামের কোথাও কেউ নেই। আখের ক্ষেতে গা ছমছম করা বাতাস। আব্দুর রহমান কবিরাজের সেই জিন-পরিরা কি নেমে আসছে? জমজমাট সেই গ্রাম এখন জনমানবশূন্য। সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটানো সেই গ্রামে উৎসব তো দূরের কথা, এখন কোনো ঘরবাড়ির বালাই নেই। খাঁখাঁ করছে চারদিক। একসময়ের সমৃদ্ধ জনপদের চিহ্ন হিসেবে টিকে আছে পুরোনো আমলের ঘরবাড়ির ইটের টুকরা, উচুঁ ভিটা আর তিনটি পুকুর।

সবুজ পাতার ফাঁকে যেন লাল জবাফুল টি হাসছে

Image
  আমাদের দেশের সর্বত্রই লাল জবা ফুল দেখা যায়। দেখতে খুবই সুদৃশ্য।  জবা ফুল গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে যেন লাল ফুলটি হেঁসে থাকে। আমরা সাধারণত শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসাবে বাড়ির আঙিনা কিংবা বাড়ির ছাদে জবা ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকি। রাস্তার ধারে দুটি জবা ফুল গাছ মাটির ঘরে কে যেন অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়েছে। এ দৃশ্য আপনাকে খুবই মনমুগ্ধকর বে